রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতেই রূপ দিতে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নার্ভাস নাইনটিসেই কাটা পড়তে হয় তাকে।
মোহাম্মদ আলীর বল কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হলো না তার।
লম্বা সময় পরও পাকিস্তানও পেল ব্রেকথ্রুর দেখা। এর ফলে ভাঙে সপ্তম উইকেটে মুশফিক ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৯৬ রানের জুটি। সপ্তম উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সেরা জুটি। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে ১৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান।
১১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩৪১ বলে ২২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯১ রানে আউট হন মুশফিক। গতকাল ৫৫ রানে অপরাজিত থাকার পর আজ সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন তিনি। লিটন দাস লাঞ্চের আগে সাজঘরে ফিরলেও মিরাজ দারুণ সঙ্গ দেন তার।
যার ফলে চা বিরতির আগপর্যন্ত কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেশনের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ধৈর্য হারালেন মুশফিক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২৯ রান করেছে বাংলাদেশ। লিড নিয়েছে ৮১ রানের। মিরাজ ৬৫ ও হাসান মাহমুদ অপরাজিত আছেন শূন্য রানে।