চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ক্ষত রয়েছে অফিসজুড়ে। নিরাপত্তার শঙ্কায় কাউন্সিলরসহ অফিস করছেন না কেউই। কখন নাগরিক সেবা মিলবে, তাও জানাতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যালয় সচল করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গণ অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের প্রায় প্রতিটিতেই চলে লুটপাট আর ভাঙচুর। তছনছ করা হয় নাগরিক সেবার নানা প্রয়োজনীয় দলিল।
পাঁচ দিন ধরেই বন্ধ এসব অফিস। নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক কারণে খোঁজ মিলছে না কাউন্সিলরদের। কার্যালয়ে যাচ্ছেন না কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও। এতে প্রয়োজনীয় সনদসহ অন্যান্য সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।
এলাকাবাসী বলছে, কার্যালয়ে কাউন্সিলর, সচিব কেউই নেই। এ ছাড়া ডকুমেন্টসও কিছু নেই। কীভাবে কাজ হবে বুঝে উঠতে পারছি না। অনেকেই আবার তাদের প্রয়োজনীয় নানা কাগজ-পত্র এ অফিসে জমা দিয়ে গেছে, তাদের তো সব কাগজ পুড়ে গেছে। তারা কীভাবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে তা নিয়েও রয়ে গেছে প্রশ্ন।
কাউন্সিলরদের পাশাপাশি সিটি মেয়রও যাচ্ছেন না অফিসে। এতে সংকট আরও বাড়ছে, বলছেন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলররা নিরাপত্তাজনিত কারণে আত্মগোপনে আছেন।
নগরবাসীর সেবা নিশ্চিতে দ্রুত সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, কাউন্সিলরদের মধ্যে যারা আসছেন না তাদের দায়িত্ব অন্য যারা অফিসে আসবেন তাদেরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেও এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের টানা তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না।
এরপর গেল ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও ১৩ উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন