অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, এখন মূল কাজ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের মূল কাজ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এরপর আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে।’
দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘শিগগিরই উচ্চ আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।’
শনিবার প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টা রংপুরে আবু সাঈদের বাড়িতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত তিনদিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশজুড়ে সহিংসতায় অনেকেই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খানকে দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ ও বন আর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
এছাড়া হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ এবং আ.ফ.ম খালিদ হাসান পেয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডাক পাওয়া আরও তিন উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় এবং মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আযম বৃহস্পতিবার শপথ না নেওয়ায় তাদের দপ্তর বণ্টন হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শপথ নেওয়ার পর তাদের দপ্তর দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, সড়ক পরিবহনসহ মোট ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ২টি বিভাগের দায়িত্ব নিজের কাছেই রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।