বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসার এক সপ্তাহ আগে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেসময় প্রতিকেজি আলুর দাম ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এখন পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। খুচরা বাজারেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় আলু পাচ্ছেন ক্রেতারা।
তবে এ বছর অন্যান্য যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম উঠেছিল।
দেশে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভারত থেকে প্রথম আলু আমদানি শুরু হয়। এরপর গত পাঁচ দিনে দেশে আলু এসেছে ২ হাজার ৭০০ টন। এখন পর্যন্ত সরকার থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে রামপুরা বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা তিনদিন আগে ৬০ টাকা এবং এক সপ্তাহ আগে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সময় ৭০ টাকা কেজি ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা আলুর পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম হলেও দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বাজারে উত্তরাঞ্চলের আগাম আলু আসতে শুরু করেছে।
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারের তুলনায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম আরও অনেক বেশি কমেছে। তবে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে কম।
পাইকারি বাজারে দেশি আলুর দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা কমেছে। অন্যদিকে, সরকার নির্ধারিত আলুর দাম খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে এখনও কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। কিছু পাড়া মহল্লার দোকানে আবার এখনও ক্রেতাদের ৬০ টাকা কেজিতেই আলু কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারে লক্ষী ভাণ্ডারের গোপাল চন্দ্র বলেন, পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা দামে। যা আগের থেকে ১৫ টাকা কম। যে কারণে খুচরা বাজারে ৪০-৪৫ টাকা দামে আলু বিক্রি করার কথা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনও দাম কমাননি। আগে কেনার অজুহাতে সামান্য কিছু কমিয়ে বিক্রি করছে।