চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পথে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আর ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে এ রুটে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমে ঢাকা থেকে এ রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চললেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৫১ কিলোমিটার। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হলে প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, দিনে একটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে ট্রেনটির। পরে এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে।
রেল সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চালু হতে যাওয়া ট্রেনের জন্য বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এগুলো হলো: প্রবাল এক্সপ্রেস, হিমছড়ি এক্সপ্রেস, ইনানী এক্সপ্রেস, লাবণী এক্সপ্রেস ও সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস। এর মধ্য থেকে একটি বাছাই বা অন্য কোনো নাম দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্রেনে দুটি খাবার বগি, একটি পাওয়ার কার, তিনটি এসি কেবিন, পাঁচটি এসি চেয়ার, ছয়টি শোভন চেয়ার এবং একটি নন-এসি ফার্স্ট সিট বগি থাকবে। ঢাকা থেকে যাত্রার সময় আসনসংখ্যা হবে ৭৯৭। ফিরতি পথে আসন হবে ৭৩৭। রেলসূত্রের ভাষ্য: আপাতত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের তূর্ণা নিশীথার বগি দিয়ে চালানো হবে ঢাকা-কক্সবাজারের ট্রেন।