লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দুই প্রার্থী।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এসে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন ও দুপুর ২টার দিকে জাকের পার্টির প্রার্থী শামসুল করিম খোকন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
জাপা প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের রাকিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের লোকজন ব্যাপক জাল ভোট দিয়েছে। ভোটারবিহীন ফাঁকা ভোটকেন্দ্র হলেও ব্যালট কাটা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেখা গেছে, কেন্দ্রে ভোটার ১০ জনও নেই, কিন্তু ভোট পড়েছে শতাধিক। প্রায় কেন্দ্রের অবস্থা এ রকম। এসব বিষয়ে আমার এজেন্টরা প্রতিবাদ করায় তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকেই কোনো কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।
রাকিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় আমি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এদিকে একই ধরনের অভিযোগ এনে জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী শামসুল করিম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ১১৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সকাল থেকে আমি ৩৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। এসব কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা অনিয়ম ও কারচুপি করেছে। আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তাই আমি ভোট বর্জন করেছি।
উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি সকাল থেকে মাঠে ছিলাম। ভোটের পরিবেশ ভালো ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী অনিয়মের বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেননি।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জাপা ও জাকের পার্টির প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু এবং পিপলস পার্টির আম প্রতীকের সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন