দেশ এক্সপ্রেস

পুলিশই গাঁজা দিয়ে আটক করেছিল, কোরআন ছুঁয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২৩ অক্টোবর ১৮, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
#

ভোলার চরফ্যাশনে ছাত্রলেীগের কয়েকজন নেতাকে পুলিশ গাঁজা ধরিয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছে বলে দাবি করেছেন ওই নেতারা। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে কোরআন ছুঁয়ে এই দাবি করেন ছাত্রলীগ ওই নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মুসফিকুল আলম রাফি, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মনির দালাল।

সংবাদ সম্মেলনে মুসফিকুল আলম রাফি বলেন, গত ২৩ আগস্ট চরফ্যাশন থানার এসআই সাইফুল-২, এসআই সিদ্দিকসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য সাত কেজি গাঁজা ধরিয়ে দিয়ে আমাকেসহ ইলিয়াছ ও মনিরকে আটক করে। আমিনাবাদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহাদের ইন্ধনে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। এসআই সাইফুল ও সিদ্দিক আমাকে আর ইলিয়াছকে বিকেল ৪টায় আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ তফসিল অফিসের সামনে থেকে আটক করে চরফ্যাশন পৌরসভা বিএড কলেজ চত্বরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমাদের বলেন, ‘যে ব্যাগটি আমরা কলেজের পাশ থেকে আনব তোরা সেটি সেখানে রেখেছিলি বলে স্বীকার করবি।’

তিনি আরও বলেন, যদি আমার এটা স্বীকার না করি তাহলে আমাদের এনকাউন্টারে দিয়ে মেরে ফেলব। সামনে গাঁজা দিয়ে আমাদের মুখ দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে পুলিশের মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় মিথ্যা অভিযোগে আটকের কথা চিৎকার করে বললে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। আমরা সাত কেজি গাঁজা মামলার আসামি হয়ে ৪২ দিন জেল খেটে এসে সংবাদ সম্মেলন করছি।

সংবাদ সম্মেলনে কোরআন ছুঁয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমরা যদি গাঁজার সঙ্গে জড়িত থাকি আল্লাহ আমাদের মাফ করবেন না। আর যদি পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের জীবনে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে সম্মানহানি করে আল্লাহ এর দ্রুত বিচার করবেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াছ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে গাঁজার কোনো মামলা নেই। কিন্তু ফাহাদর বিরুদ্ধে গাঁজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মামলা থাকার পরেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি করছি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহাদ জানান, এই ষড়যন্ত্র আমি করিনি। আমাকে অহেতুক তারা দোষারোপ করছে।

চরফ্যাশন থানার এসআই সাইফুল বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। আপনারা যাচাইবাছাই করে দেখেন আমরা মিথ্যা মামলা দিয়েছি কি না। এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য নেন।

চরফ্যাশন থানার ওসি মো. শাখওয়াত হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন হলো এই থানায় যোগ দিয়েছি। ওই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। জানার চেষ্টা করব।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video