নোয়াখালী শহরের বার্লিংটন এলাকায় প্রেমের বিয়ে পরিবার মেনে না নেওয়ায় অভিমানে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীর জায়েদুল হক রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই এলাকার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত ছাত্রী নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজদী বার্লিংটন মোড় সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা আনিসুল হকের মেয়ে
রহিমা খাতুন মুক্তা। তিনি নোয়াখালী মহিলা কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ইব্রাহীম হৃদয়ের (২৪) সঙ্গে ফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুক্তার। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এ সময় শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মেলেনি। মেলেনি সামাজিক ও পারিবারিক স্বীকৃতি। এরপর থেকেই হতাশাতে থাকতেন মুক্তা।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির সঙ্গে ইব্রাহীমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ২০২২ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু ইব্রাহীমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে প্রায় মনোমালিন্য হতো মুক্তার। এসব নিয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ওসিদ মো. মীর জায়েদুল হক রনি জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে শুনেছি, মেয়ের সঙ্গে শাশুড়ির কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ কারণে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন