ক্যাম্পাস

রাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর কক্ষে সিলগালা

মিডিয়া এক্সপ্রেস
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২৩ সেপ্টেম্বর ১৩, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
#
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রী নাশরাত আর্শিয়ানা ঐশী। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী নাশরাত আর্শিয়ানা ঐশীর কক্ষ সিলগালা করেছে হল প্রশাসন। নিয়ম অমান্য করায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কক্ষ সিলগালা করা হয় বলে জানান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মণি কৃষ্ণ মোহন্ত।

ছাত্রলীগ নেত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ২৮৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্রী। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বলে জানা যায়।

হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মণি কৃষ্ণ মোহন্ত জানান, হলের কোনো নিয়মনীতি মানতেন না ছাত্রলীগের ওই নেত্রী। হলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক প্রভাব দেখান তিনি। বিষয়গুলো নিয়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তার কক্ষটি সিলগালা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, দুই আসনের একটি একাই থাকতেন ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী। হল প্রশাসন এর আগে এ বিষয়ে কয়েকবার তাকে অবগত করেন। এসব বিষয় নিয়ে হল প্রশাসন ও ঐশীর মধ্যে ঝামেলা হয়। ঝামেলার একপর্যায়ে হল প্রশাসন তার কক্ষ সিলগালা করে দেয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী বলেন, ‘এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রথমে হলের প্রাধ্যক্ষ রাগান্বিত হয়ে এ কাজ করেছিলেন। তারপর আমাদের বড় ভাইয়েরা প্রাধ্যক্ষ ও উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেছেন।’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাজরিন মেধা বলেন, ‘আমাদের হলে কোনো সিঙ্গেল রুম নেই। ঐশী তার রুমে একা থাকেন। ওই রুমে অন্য কাউকে সিট বরাদ্দ দিলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রাধ্যক্ষ ম্যাম একাধিকবার তার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি ডাবল সিটের রুমে একা থাকতে চান। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তার কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

রুম সিলগালার বিষয়ে আবাসিক শিক্ষক ড. মণি কৃষ্ণ মোহন্ত বলেন, ‘হলের ২৮৮ নম্বর কক্ষটি ডাবল সিটের। কিন্তু শুরু থেকে ঐশী ওই কক্ষে একা থাকেন। তার কক্ষে কাউকে সিট বরাদ্দ দেওয়া হলে তিনি উঠতে দেন না। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন থেকে মাসখানেক আগে চিঠি ইস্যু করা হয়। তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তার কক্ষটি সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফারজানা কাইয়ুম কেয়া বলেন, ‘এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না। উপাচার্য বিদেশ থেকে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনা করে জানাব।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video