চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছিলেন না তিনি। যার ফলে তখন দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এই ফুটবলার।
অবশেষে সেই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন হামজা। গত তিন মাস আগে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ ফুটবলার। বেশ কিছুদিন আগেই পাসপোর্ট তৈরি হয়েছিল তার। তবে লেস্টার সিটির প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ও প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ায় ব্যস্ততার কারণে তিনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছিলেন না।
তবে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) হামজার পক্ষে তার মা লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। হামজার পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হামজার এখন প্রয়োজন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও তার ক্লাব লেস্টার সিটির অনুমতি। তারপরই ফিফাকে কাগজপত্র জমা দেবে বাফুফে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়ে গেলে নভেম্বরে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলে দেখা যাবে হামজাকে।
আগামী মাসে ভুটানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাফুফের চেষ্টা ছিল সেপ্টেম্বর উইন্ডোতেই লাল-সবুজ জার্সিতে হামজার অভিষেক করাতে। তবে পাসপোর্ট তুলতে বিলম্ব হওয়ায় ভূটানের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না তার। আগামী নভেম্বর উইন্ডোতে হামজাকে খেলানো যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জে হামজা চৌধুরীর নানা বাড়ি। ছোটবেলায় সেখানকার আলো-বাতাস না পেলেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব দলে খেলেছেন এই ফুটবলার।
হামজা চৌধুরী এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলতেন। এরপর ধারে বুরটন আলবিয়নের পর খেলেছেন ওয়াটফোর্ডেও। বেশ কয়েকবার তার বাংলাদেশে খেলার ব্যাপারে গুঞ্জন ছড়ায়। এবার সেই গুঞ্জনই বাস্তবে রূপে নিতে যাচ্ছে।