গত এশিয়া কাপেও দর্শক হয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তার জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। রিয়াদকে দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য আন্দোলনও করেছেন সমর্থকেরা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ফিরে রিয়াদ বুঝিয়ে দিয়েছেন– তিনি ফুরিয়ে যাননি। আর রিয়াদই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে টাইগারদের সেরা পারফরমার।
বিশ্বকাপের মঞ্চে লিটন, শান্ত, সাকিব ও মুশফিকসহ দলের সব ব্যাটার যখন ব্যর্থ, তখন একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন রিয়াদ। দল একের পর এক ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে নিজের সাধ্যমত পারফর্ম করে গেছেন তিনি। যার ফলে আইসিসি থেকে আবারও সুখবর পেয়েছেন সাইলেন্ট কিলার। তবে জাতীয় দলে তার সব সতীর্থরা পেয়েছেন দুঃসংবাদ।
বুধবার (১ নভেম্বর) সাপ্তাহিক হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যেখানে ব্যাটারদের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি এই ব্যাটার এখন ৫৪৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন ৪৯তম অবস্থানে। এছাড়া একই সমান রেটিং নিয়ে ৪৮ তম স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ। বাংলাদেশ কাপ্তান সাকিব আল হাসান আছেন ৪৬ তম পজিশনে।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের ম্যাচে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই সেঞ্চুরি করে দলকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সেঞ্চুরির সুবাদে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে চলে এসেছিলেন ৫২ নম্বর পজিশনে। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে শোচনীয় হারের দিনেও ৫৬ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ধারাবাহিক ফর্মে র্যাঙ্কিংয়ে আবারও দুই ধাপ এগোলেন তিনি।
এদিকে রিয়াদ বাদে বিশ্বকাপজুড়েই অফফর্মে বাংলাদেশের বাকি ব্যাটাররা। যার প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়েও। ভুলে যাওয়ার মতো বিশ্বকাপ কাটাচ্ছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এবার ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ পিছিয়ে ৩১ তম পজিশনে নেমে গেছেন। আরেক ফ্লপ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত দুই ধাপ পিছিয়ে আছেন ৭৮ তম পজিশনে। বিশ্বকাপ দলে না থাকা তামিম ইকবাল দুই ধাপ পিছিয়ে এখন ৫৪ তম পজিশনে আছেন।
এদিকে, ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে বাজে ফর্মের কারণে হয়তো শীর্ষস্থান শিগগিরই হারাতে পারেন বাবর। দুইয়ে থাকা ভারতীয় তারকা ব্যাটার শুভমান গিল তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। বাবরের রেটিং পয়েন্ট ৮১৮ আর গিলের ৮১৬।
মন্তব্য করুন