আলোচিত এস আলম গ্রুপের ১২টি প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তদন্তে নেমেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এ জন্য সম্প্রতি তদন্ত দলও গঠন করা হয়েছে।
এতদিন নানা বাধার কারণে এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের জরিমানাসহ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার কর আদায় করতে পারছিল না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও কর ফাঁকির তদন্তে নামে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কর ফাঁকি দিয়েছে ৩ হাজার ৫ শত ৩৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া চেমন ইস্পাত ফাঁকি দেয় ১৪০ কোটি টাকার ভ্যাট। পরে জরিমানাসহ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি করে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে গ্রুপের ১২ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও ভ্যাট ফাঁকির তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এই কমিটি এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
এ ছাড়া ব্যাংক ঋণের সুবিধাসহ নানা কারণে তৈরি করা নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোরও তদন্ত করছে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এস আলম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মূলত এস আলম নামেই বেশি পরিচিত। তাঁর পক্ষে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অপরাধ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।