দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। শৃঙ্খলাজনিত তাদের কোনো ব্যবস্থা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রান্সফার— এগুলো আওয়ামী লীগ করছে না, প্রধানমন্ত্রী করছেন না। সবই নির্বাচন কমিশন করছে। ইউএনও ট্রান্সফার, ওসিদের ট্রান্সফার, ডিসিদের ট্রান্সফার—কাজগুলো আর সরকারের নয়। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন নিয়ে কাদের বলেন, স্বতন্ত্র হলে বহিষ্কারের কথা বলেনি আওয়ামী লীগ।
কাদের বলেন, 'জনসমর্থনের অভাবে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস, চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা করছে। চোরাগোপ্তা হামলার জন্য বিএনপি এখন কর্মী পাচ্ছে না, তাই টাকা দিয়ে টোকাইদের মাধ্যেম সন্ত্রাস করছে।
‘বিএনপির অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তার প্রমাণ তাদের দলের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শুধু শমসের মবিন, তৈমুর আলম খন্দকার নয়, জেনারেল ইবরাহিম বীর প্রতীক সাহেবও নির্বাচনে এসেছেন। আজ অনেকেরই শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।’
যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেক বড় বড় নেতাও আছেন। শুধু শাহজাহান ওমর নয়, অনেকে এসেছেন। তারা বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। আজ বিএনপির রাজনীতিকে তারা প্রত্যাখ্যান করে বিশুদ্ধ রাজনীতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, সামনে বিএনপির অনেক নেতা ও কর্মী অসুস্থ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবেন— বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।