বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। সরকার আমেরিকা-লন্ডনে ঘুরেও কোনো ফলাফল না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে এসেছে। এই সরকার আবারও ক্ষমতায় আসতে চাইছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করার পাঁয়তারা করছে। এবার আর এসবে কাজ হবে না।’
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যে ভোট চোর এটা আজ তা সারা পৃথিবী জানে। কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারকে দেশের মানুষ আর চায় না। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সরকার সব দিকে ব্যর্থ হয়ে আমাদের মাথার মুকুট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের নামে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার পাঁয়তারা করছে। আমি এই সভা থেকে দাবি জানাচ্ছি খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠনোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
পূর্ব নির্ধারিত সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়ায় রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভা শুরু হয়।
বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্ল্যাহ বুলু, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপিরসাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়াসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভা সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়ায় খন্দকার ফুড গ্যালারির সামনে থেকে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কুমিল্লা অতিক্রম করে রোডমার্চ ফেনী-মিরসরাই-সীতাকুণ্ড হয়েবিকেলে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। পথে কয়েকটি পথসভা শেষে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি গিয়ে রোডমার্চের সমাপ্তি সমাবেশ হবে।