বিএনপি এখন জামায়াতের ‘বি’ টিম হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মানবাধিকার দিবসে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা এ বিশৃঙ্খলা করতে চায়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখানে আমরা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগি। মিলিটারি ডিক্টেটরকেও অনেকে গণতন্ত্র বলে। একেবারেই ত্রুটিমুক্ত বা পারফেক্ট ডেমোক্রেসি পৃথিবীর কোথাও রয়েছে বলে আমার জানা নেই। তারপরও আমরা বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করে তার হাল ধরেছি। কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও আমরা বিশুদ্ধ গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মন্ত্রীরা কেবল রুটিন কাজ পরিচালনা করছি, কোন উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনে যাচ্ছি না। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। যেমন অনুমতি না পাওয়ায় ১০ তারিখে কোন সমাবেশ আমরা করছি না।
এসময় ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ হচ্ছে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস। এই মানবাধিকার দিবসে আমরা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে একটি বড় সমাবেশ করবো, আমাদের এরকম একটা কর্মসূচি ছিলো।
‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম। সে আবেদন তারা গ্রহণ করেন নি। বাইরে সমাবেশের নামের শোডাউন হবে সে আশঙ্কা করছে। যে কারণে দশ তারিখে আমাদের মানবাধিকার দিবসের আনুষ্ঠানিকতা ভেতরেই পালন করব। বাইরে যে সমাবেশ করার কথা সেটি করছি না। নির্বাচনী বিধির বাইরে আমরা যেতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রতিযোগীতামূলক হবে আশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এলাকাতেই চারজন প্রতিযোগী, আমার এলাকাতেও তাই। সুতরাং প্রতিযোগীতা তো হবেই।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।