ভালোবাসা বা প্রেম কারো প্রতি জন্মালে তার সাথে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে ইচ্ছা করে, পরিকল্পনা করা হয় কিভাবে নিজেদের ভালোবাসাকে পরিপূর্ণতা দেয়া যায়, সুখ দুঃখ রাগ সবকিছু ভাগাভাগি করেই একটি প্রেমের সম্পর্ক গভীর হতে শুরু করে, তবে যে মানুষটাকে নিয়ে সারাটা জীবন পথ পাড়ি দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হয় সে মানুষটার প্রেমে পড়তে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে?,
কারো মতে, প্রেম হয় বছর পর বছর কথা বলার পর, অনেকের মতে এক সপ্তাহ আবার অনেকের মতে, এক দুমাস কথা বললেই প্রেম হবে, তবে ৯০ সেকেন্ড ও যে প্রেম হতে পারে এটা কি কখনো শুনেছেন?
বিজ্ঞানীদের মতে, যখন কাউকে ভালো লাগে তখন মস্তিষ্কে একধরনের রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ হয়। ফলে ব্যক্তির মনে একটি সুখানুভূতির সৃষ্টি হয়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, একজন ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক ৯০ সেকেন্ড থেকে ৪ মিনিট সময় নেয়। মজার ব্যাপার হলো, মানুষের মস্তিষ্ক প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির কিছু বিষয় বিবেচনা করে। এ ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ মানুষ অঙ্গভঙ্গি বা বাহ্যিক রূপ দেখে প্রেমে পড়ে, ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার ভঙ্গি এবং মাত্র ৭ শতাংশ তাদের মূল বক্তব্য শুনে প্রেমে পড়ে
যুক্তরাষ্ট্রের রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হেলেন ফিসার জানান, প্রেমের তিনটি স্তর রয়েছে। এই তিনটি স্তরের প্রতিটি স্তরই ভিন্ন ভিন্ন হরমোন ও রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। স্তরগুলো হলো- ভালোবাসার ইচ্ছে, আকর্ষণ ও সংযুক্তি।পরিশেষে একটি বলাই যায় ভালোবাসা বা প্রেম কেবলই মনস্তাত্ত্বিক কিংবা দার্শনিক ব্যাপার নয়, এটি বৈজ্ঞানিক ব্যাপারও বটে!