নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ। কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ঘিরে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির নাশকতার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, এক নির্বাচিত সরকারের কাছে আরেক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটাতে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
১৪ দলের আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যোগ্য প্রার্থীকে ছাড় দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেই চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নই। ইতোমধ্যে সারা দেশে জাগরণের ঢেউ নির্বাচনকে সামনে রেখে, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা মানুষের মধ্যে। তাতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা জানি, তারা যত বাধাই সৃষ্টি করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী। মানুষ ভোট দিতে চায়। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে যারা বাধা দেবে, জনগণই তাদের বাধা দেবে। ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ তারা চোরাগোপ্তা পথ বেছে নিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস চালাচ্ছে। বাসের নিরীহ হেলপারকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে। যেখানে-সেখানে আগুন দিচ্ছে। বাস পোড়াচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, নাট-বল্টু খুলে ফেলছে- এসব অন্ধকারের অনেক অপকর্ম তারা করে যাচ্ছে। তারা জানে যে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। বিএনপি এ কথা ভালো করেই জানে তারা বাধা দিয়ে নির্বাচন পণ্ড করতে পারবে না। আমাদের বিদেশি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত দেশে কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ-সহিংসতা, নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং সেটা বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। তবে নাশকতা পরাজিত হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, কয়েক মাসব্যাপী এ শহরে বিএনপি সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা পাল্টাপাল্টি বলে নিউজ করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি, মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা এ ঢাকা শহরে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ। এখানে তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। আর ১০ তারিখ হলো বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। আমরা তো নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছি, আমরা সমাবেশ করতে চাই। এখানে পাল্টাপাল্টির কী হলো। মানবাধিকার দিবস পালন করবো এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টপাল্টির বিষয় নেই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কী করতে পারি। নির্বাচনে তো তারা স্বেচ্ছায় আসছে না। সেখানে আমরা জোর করে কী তাদের নির্বাচনে আনবো? আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচন পরিচালনা করছে। কাজেই আমাদের চলার পথে আমরা গণতন্ত্র বা পৃথিবীর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনো নতুন কিছু করছি না।
মন্তব্য করুন